রিয়েলকে চার গোলে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজি

hello ishwardi

বেহাল রিয়াল মাদ্রিদ। এক হালি গোল খেয়ে বসলো লস ব্লাঙ্কোস  মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তিন মিনিটের ঝড়ে ওলট-পালট হয়ে গেলো কিলিয়ান এমবাপেরা। সেমিফাইনালে রিয়ালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে পিএসজি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পারিসিয়ানদের প্রতিপক্ষ ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিতে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল পিএসজি। তারকাখচিত দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে তারা এবার আরও শক্তিশালী। ক্লাব বিশ্বকাপে তারা বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মায়ামি, আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো দলকে হারিয়েছে। এবার রিয়াল মাদ্রিদ। পুরো ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে দাঁড়াতেই দেয়নি পিএসজি।

পিএসজি ছেড়ে কিলিয়ান এমবাপে যোগ দিলেন রিয়ালে, সেই দলটা এবার কাটালো ট্রফিশূন্য সিজন অন্যদিকে, পিএসজি জিতে নিলো প্রথম ইউসিএল শিরোপা, ফরাসি ম্যাজিশিয়ানের রিইউনিয়ের ম্যাচে রিয়ালকে তারই সাবেক ক্লাবটা হারালো ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। পোড়া কপাল বোধহয় একেই বলে।

২০২৪-২৫ সিজনে পিএসজির কি হলো কে জানে? যে দলই ওদের সামনে এসেছে, পুড়ে হয়েছে ছারখার। ইন্টার মিলানকে ফাইনালে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে এবার রিয়েলকে দিলো ৪টা। শাভির আন্ডারে রিয়াল ছুটছে নতুন গতিতে এমনটা ভেবেছিলো যারা তাদেরকেই যেন চরম বাস্তবতার সামনে দাড় করিয়ে দিলো এনরিকের মাস্টারপ্ল্যান। বুঝিয়ে দিলো দিল্লি বহু দূর।

ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক পিএসজি। প্রথম চার মিনিটে দুর্দান্ত দুটি সেভ করে করে দলকে বাঁচালেন থিবো কোর্তোয়া। তবে ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় কুল হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৬-৯ এই তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বসে লস ব্লাঙ্কোস।

ফাবিয়ান রুইজের গোরৈ লিড নিয়ে নেয় পিএসজি। শুরু ধাক্কা সামাল না দিতেই রুডিগারের ভুলে স্কোর শিটে নাম তোলেন ওসমান দেম্বেলে। দুই গোলের লিড নিয়ে বসে এনরিকের শিষ্যরা। খানিক বাদেই আবারো সিনে আসেন ফাবিয়ান রুইজ। এই স্প্যানিয়ার্ডের কাছেই যেন খেই হারালো স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

কামব্যাক মাস্টার খ্যাত রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে গোল শোধ করতে পারেনি একটাও। পারিসিয়ানরা রীতিমতো বোতলবন্দি করে ফেলেছিলো রিয়েল মাদ্রিদকে। দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রটা একই। ম্যাচ জুড়ে পারিসিয়ানরা যেখানের বল পজেশন ধরে রেখেছে ৬৮ শতাংশ সেখানে রিয়েল ৩২ শতাংশ।

ফাবিয়ান রুইজের বিগ চান্স ক্রিয়েট করেছে পাঁচটা যার মধ্যে চারটিই কনভার্ট হয়েছে গোলে। অন্যদিকে, পুরো নব্বই মিনিটে রিয়েল মাদ্রিদ কোনো চান্সই ক্রিয়েট করতে পারেনি। পিএসজি গোল মুখে শট নিয়েছে ৭টি, রিয়েল নিতে পেরেছে মোটে ২টি। আগুনে পারফর্ম করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে পিএসজি।

রিয়ালের দুই সেরা তারকা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন প্রতিমুহূর্তে। বিধ্বস্ত হওয়ার রাতে কিলিয়ান এমবাপের পুরো নব্বই মিনিটে অন টার্গেট শট নিতে পারে মোটে একটি। অন্যদিকে ৬৭ মিনিট খেলে ঠিকঠাক একটাও শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

রিয়াল পারলো না, বুক ভরা কষ্ট নিয়ে গুডবাই বললেন, লুকাস ভাসকেজ আর লুকা মদ্রিচ। ১৩ বছরের লম্বা জার্নিতে মদ্রিচ ৫৯৭ ম্যাচ খেলেছেন, ৪৩ গোলের সাথে আছে ৯৫ টা অ্যাসিস্ট, ৬টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, ৪টা লালিগা শিরোপা, ২০১৮ জিতেছিলেন ব্যালন ডি অর। ক্লাবের হয়ে তার কাছে ধরা দিয়েছে সব প্রাপ্তি তবুও লুকা মদ্রিচের শেষটা হলো দুঃখে মোড়ানো।  সব গল্পের বোধহয় হয় না হ্যাপি এন্ডিং।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ